দয়াময় অধিপতি অবাধ্য বান্দার
দয়াময় অধিপতি অবাধ্য বান্দার
মুহাম্মদ ইয়াছিন হোসাইন ফয়েজুন্নবী
জেলা প্রতিনিধি চট্টগ্রাম
কর্তার গুনে ই কর্তা। আপন থেকে আপন মানুষ চির-চেনা মুখের অবয়বে সময়ের অযত্নে ফেকাশ হয়। বিনা কারনে বোধ হয় ফুলেও মৌমাছি আসে না।
অনু থেকে বিন্দু অস্তিত্ব বজায় রাখে তার আপন বলয়ে। আপন বলয় ছাড়া বাতাসেও গতি নেই। মহা শুন্যের ও শূন্যতা নেই। সব বলয়ের মহাবলয় মহিয়ান মহীপতি। শক্তির সত্ত্বাও মহা-সত্ত্বার কুদরতের অধীন ।
নিয়মের বাহিরে প্রকৃতি চলে না। প্রকৃতি তার আপন গতিতে চলমান। প্রকৃতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো অসম্ভব। সৃষ্টির মধ্যে মানুষ এমন জাতি যে তার নিয়মের বাহিরে চলতে পছন্দ করে।
সূর্যের নীতির কথা মনে করুন। সে তার কিরন বিতরনে অকৃপন। সে তার স্বভাবে বদ্ধপরিকর। দিনের পর দিন সে তার নীতিতে বাধ্য। তার স্বভাব টাই তার ধর্ম।
মহাজগতে বিধির নিয়ম অতিক্রম করে মানুষ ছাড়া এমন কোন প্রাণী খুঁজে পাওয়া কষ্টকর। মানুষের অবচেতনে তাই ভাবে যা সে চেতনে অনুমান করে।
কিঞ্চিৎ পরিমান অবাধ্য হলে অর্থাৎ নিয়মের বাহিরে গ্রহ নক্ষত্রের বিনাশ ঘটে।
হাসি তামাশার পাত্রে আমাদের অবাধ্য মন সন্তুষ্ট। যে পরিমানের পরিনাম অশুভ হয়। আমরাই তা বেশি করি। রাত পোহালেই ধর্মের তথা নীতির বাহিরে গা ভাসিয়ে দেই। আমরা মনে করি ধর্ম আমাদেরকে পরাধীন বানায়। যদি আপনি তা মনে করেন। তবে আপনার চৈতন্য প্রয়োজন।
বস্ত যে নিয়ম অনুসরণে আপন বলয়ে বলিয়ান তার নাম ই ধর্ম। অর্থাৎ যা অনুকরনে বস্তু তথা ব্যক্তির আদর্শিক বজায় থাকে। তার নাম পুস্তিকায় ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করে।
ফুলের রেনু বেড়ে উঠার গল্প আপনাদের স্মরণে আছে ? রেনু ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে। সে তার বিকাশকে মন্থর গতিতে রাখে। অন্যান্য উদ্ভিদের তুলনায় তার গতিকে স্থির রাখে যাতে ফুলের সৌরভ নির্মাণে ব্যাঘাত না ঘটে।
পৃথিবীর সব কিছুই তে নিয়মের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আর তাতে আপন সৌরভের সৌন্দর্য সৃজিত হয়। সৃজনের শ্রীজন জানে রচনার রীতি। বাধ্যকতা ছাড়া রুচির অরুচি ঘটে ।।
মানুষ তার নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করার পর রহমত প্রাপ্ত। তাঁর ন্যায় অন্য কোন সৃষ্টি নেই। একমাত্র সৃষ্টি মানুষ, যারা অবাধ্য তবে রবের পছন্দনীয়।
আপনি যখন আপনার দৈনিক কর্মকাণ্ড অনুসন্ধান করবেন। তখন যে ফলাফল আপনার হাতে আসবে তা দেখে আপনি হতভম্ব হবেন। আপনার ভালো কর্মের তুলনা অনিষ্ট কর্ম অধিক। তা সত্ত্বেও আপনার নির্ধারিত রিযিকের মধ্যে এক বিন্দু ঘাটতি হয় না।
প্রতিনিয়ত আপনার ঘৃনিত কাজ চলমান। পশুর ন্যায় আচারণ । যার কারনে মানুষ আপনাকে ধিক্কার দেয়। সমাজ আপনাকে অপদস্থ করে। বিচারের আওতা নেয়। দুনিয়ার মানুষ আপনার থেকে মুখ ফিরে নেয়। কিন্তু আপনার রব আপনাকে ছেড়ে দেয় না।
দিন রাত অবাধ্যতা কাটানোর পর, ঘুম থেকে উঠে যে অক্সিজেন নিচ্ছেন। তা নেওয়ার আঞ্জাম যিনি করেন তিনিই আপনার রব। আপনি তাঁকে ভূলেন। কিন্তু তিনি আপনাকে এক মুহুর্তের জন্য ভূলে না।
গুনাহ করে আপনি ক্লান্ত। আপনি আপনার গুনাহের কথা স্মরণে লজ্জিত। আপনি যখন আপন বিবকের বিচারে অপরাধি। সেই মুহূর্তেও আপনাকে তাঁর প্রেমে আহ্বান করে।
রব তাকে বলে যে প্রতিনিয়ত বান্দার জাররা জাররা রিযিকের ব্যবস্থা করে। যিনি এক মূহুর্তের জন্য বান্দাকে চোখের আড়াল করে না। যে বান্দার প্রতি মুহূর্তের প্রয়োজনীয় বস্তুর সরঞ্জাম সরবরাহ করেন।
বিনিময় ছাড়া সমুদ্র পরিমান কল্যাণ দান করেন।
আর এই মহীয়ান রীতি আমি এবং আপনার (অবাধ্য বান্দার) দয়াবান অধিপতির শ্রেষ্ঠত্ব।
What's Your Reaction?