“এক নম্বর বেশি নয়”— মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সতর্ক বার্তা

1. “এক নম্বর বেশি নয়”— মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সতর্ক বার্তা
মাওলানা রেজাউল করিম নওগাঁ
জেলা প্রতিনিধি
২০২৫ সালের আলিম পরীক্ষা সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আজ জয়পুরহাট সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসার সেমিনার রুমে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মিঞা মোঃ নুরুল হক।
সভায় জয়পুরহাট-১ কেন্দ্রের আওতাধীন মাদ্রাসাসমূহের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, অধ্যক্ষ ও সুপারগণ অংশগ্রহণ করেন। সভাপতিত্ব করেন মোঃ আব্দুল মতিন, অধ্যক্ষ, জয়পুরহাট সিদ্দিকিয়া কামিল মাদ্রাসা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মোঃ আব্দুল হাকিম, অধ্যক্ষ, হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসা এবং মোঃ আব্দুর রহমান সরকার, অধ্যক্ষ, কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদ্রাসা, সহ জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষকবৃন্দ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর মিঞা মোঃ নুরুল হক বলেন, “বিগত সরকার দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করেছে। পরীক্ষার পদ্ধতি ও ফলাফল প্রণয়নের স্বচ্ছতা নষ্ট হয়েছে। আমরা সেই ধ্বংসস্তুপ থেকে বেরিয়ে এসে একটি মানসম্মত ও বিশ্বাসযোগ্য শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই।”
তিনি আরও বলেন, “এখন থেকে পাবলিক পরীক্ষার খাতায় শিক্ষার্থীরা যা লিখবে, শিক্ষকরা তা-ই দেখে নম্বর প্রদান করবেন। অতিরিক্ত নম্বর প্রদান বা কমিয়ে দেওয়া সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ। আমাদের লক্ষ্য হলো গুণগতমানসম্পন্ন জনশক্তি তৈরি—শুধু সংখ্যাগত বৃদ্ধি নয়।”
চেয়ারম্যান মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে বোর্ডের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বলেন, “ইবতেদায়ি ও সিনিয়র মাদ্রাসাগুলোর জন্য নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এতদিন অবহেলিত ছিল, তাদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উন্নয়ন করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “ষষ্ঠ ও অষ্টম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন প্রথা বিলুপ্ত করে সরাসরি নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন চালুর চিন্তাভাবনা করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে।”
ইবতেদায়ি মাদ্রাসা স্থাপন, স্বীকৃতি প্রদান এবং এমপিওভুক্তির জন্য প্রণীত নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে তিনি জানান। সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব ইতোমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে একটি মাত্র মাদ্রাসা শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিএমটিটিআই) রয়েছে। এখানে একজন শিক্ষক একটি প্রশিক্ষণ গ্রহণের পর পুনরায় প্রশিক্ষণ নিতে ৩৮ বছর সময় লাগতে পারে, তাও নিশ্চয়তা নেই। এই সংকট দূর করতে আমাদের পরিকল্পনা, প্রতিটি বিভাগে একটি করে বিএমটিএফ বিএমটিটিআই প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।”
সভা শেষে অংশগ্রহণকারী শিক্ষকরা মতবিনিময়ে অংশগ্রহণ করেন এবং পরীক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নে নিজেদের মতামত তুলে ধরে
What's Your Reaction?






