মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির সাফল্য।
মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির সাফল্য।

“মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমি”র যাত্রা শুরু ২০২০ খ্রিস্টাব্দে। ৩০ জন মেয়ে ও ২৯ জন ছেলে খেলোয়াড়ি নিয়ে এই ফুটবল একাডেমির যাত্রা শুরু হয়েছিলো। যা এখন বাংলাদেশের অন্যতম ফুটবল একাডেমি। এই একাডেমি থেকে স্বনাম ধন্য প্রতিষ্ঠান বিকেএসপি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে অনেক ছাত্র-ছাত্রী চান্স পেয়েছে। বিদেশেও যাবার সুযোগ পেয়েছে এই মহাতাব বিশ্বাস একাডেমি থেকে ।
২০২২ সালে খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে অনুর্ধ ১৭ “প্রমিলা দল” বিভাগীয় রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। যা চুয়াডাঙ্গা জেলার ইতিহাসে প্রথম।
জাতীয় পর্যায়ে খুলনা বিভাগীয় দলে চুয়াডাঙ্গার মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমি ৬জন প্রমিলা ফুটবল খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছে আগে।
২০২৩ সালে কক্সবাজারে অনুষ্ঠিত হয়েছে অনুর্ধ্ব ১৫ বীচ ফুটবল টুর্নামেন্ট। সেখানে খুলনা বিভাগীয় টিমে অংশগ্রহণ করে চুয়াডাঙ্গা মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির পাচজন ছাত্রী। সারা বাংলাদেশের মধ্যে খুলনা বিভাগ রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করে। বীচ ফুটবল টুর্নামেন্টের সেরা গোল রক্ষক নির্বাচিত হয় মোছাঃ ফারজানা খাতুন (মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির ছাত্রী )।
অনুর্ধ্ব ১৭ ফুটবল টুর্নামেন্টে উন্নত প্রশিক্ষনের জন্য সারা বাংলাদেশে থেকে ১১জন বাছাাই করা হয় । এর মধ্যে মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির বিদিশা উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য পর্তুগাল যাবার সুযোগ পায়। উল্লেখ্য ফুটবলের উপর স্কলারশিপ নিয়ে মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির কুরশিয়া জান্নাত সেবা বর্তমানে চায়নাতে অবস্থান করছে।
মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির ছাত্র-ছাত্রীরা অর্থনৈতিকভাবে অস্বচ্ছল । দীর্ঘদিন ধরে এদের মানসিক ও আর্থিক সার্পোট দিয়ে আসছে এই একাডেমি।
ইতিমধ্যে মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমি দুইজন ছাত্রী বিদিশা রানী ও ফারজানা খাতুন খেলোয়াড় কোটায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনিতে কর্মরত আছেন।
মহাতাব বিশ্বাস একাডেমির চুয়াডাঙ্গাবাসীর কাছে এক জনপ্রিয় সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। মহাতাব বিশ্বাস ফুটবল একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ সালাহউদ্দিন বিশ্বাস মিলন সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
What's Your Reaction?






