মাদকবিরোধী ক্রীড়া সংগঠক সামিউল হকের জন্মদিন আজ

তাওহিদুজ্জামান রোমান | শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
“খেলাধুলার বিকল্প নেই, মাদক নয় ক্রীড়াই হোক আমাদের পথ”—এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় দীর্ঘদিন ধরে ক্রীড়া এবং সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিবেদিত রয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও ক্রীড়ানুরাগী সামিউল হক। আজ শনিবার (১০ মে) তার জন্মদিন।
সামিউল হক কেবল একজন সফল উদ্যোক্তা নন, তিনি এলাকার যুবসমাজকে খেলাধুলার মাধ্যমে সুস্থ ও ইতিবাচক পথে এগিয়ে নিতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত 'সামিউল হক স্পোর্টস একাডেমি' বর্তমানে নালিতাবাড়ী অঞ্চলে ক্রীড়া চর্চার অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। একাডেমির মাধ্যমে স্থানীয় তরুণ-তরুণীদের ফুটবল, ক্রিকেটসহ বিভিন্ন খেলায় প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।
ফুটবলকে জনপ্রিয় করতে তিনি নালিতাবাড়ীতে একাধিক বড়মাপের টুর্নামেন্ট আয়োজন করেছেন, যেখানে অংশ নিয়েছেন দেশের জনপ্রিয় চিত্রতারকা ও ক্রীড়াবিদরা। তার আহ্বানে নালিতাবাড়ীতে এসেছেন চিত্রনায়ক আমিন খান, অপু বিশ্বাস, কেয়া, অমিত হাসানের মতো তারকারা। এসব আয়োজনে স্থানীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
নারীদের খেলাধুলায় সম্পৃক্ত করতে সামিউল হক বিশেষ প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, যা স্থানীয় ক্রীড়াঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। অনেক তরুণী এখন তার অনুপ্রেরণায় ক্রীড়াক্ষেত্রে সক্রিয় অংশ নিচ্ছেন, যা ভবিষ্যতে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় তৈরিতে সহায়ক হবে বলে বিশ্বাস করেন ক্রীড়ামোদীরা।
মাদকবিরোধী আন্দোলনে ক্রীড়াকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন সামিউল হক। তার ভাষায়, “যুবসমাজকে যদি মাঠে রাখা যায়, তাহলে তারা আর মাদকের দিকে যাবে না। খেলাধুলার মাধ্যমেই একটি সুস্থ ও সৃজনশীল সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব।”
সামিউল হক বলেন, “এই পথচলায় আমার কোনো স্বার্থ, প্রত্যাশা বা লাভের চিন্তা নেই। এটা আমার হৃদয়ের টান, আত্মার তৃপ্তি। আমি বিশ্বাস করি—যদি একটি যুবকও আমার প্রচেষ্টায় মাদক থেকে ফিরে এসে মাঠে দাঁড়ায়, সেটাই আমার সবচেয়ে বড় অর্জন। সমাজের কল্যাণে নিজেকে নিবেদিত রাখা আমার দায়িত্ব মনে করি, আনন্দ মনে করি। যতদিন বেঁচে থাকি, ততদিন চাই খেলাধুলার মাধ্যমে একটা সুস্থ ও সুন্দর প্রজন্ম গড়ে উঠুক।”
জন্মদিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “জন্মদিন মানেই শুধু উৎসব নয়, এটি নিজের দায়িত্ব ও সমাজের প্রতি অঙ্গীকার নতুন করে ভাবার দিন। আমি চাই আমার এই দিনটি হোক ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার একটি উপলক্ষ।”
সামিউল হকের জন্মদিনে ক্রীড়াঙ্গনের মানুষ ও সচেতন নাগরিকরা আশা প্রকাশ করেছেন, তিনি যেন আরো বৃহৎ পরিসরে ক্রীড়া ও সমাজসেবায় অবদান রেখে চলেন। নালিতাবাড়ীকে কেন্দ্র করে যে ক্রীড়া-সচেতনতা তিনি গড়ে তুলছেন, তা যেন একদিন জাতীয় পর্যায়েও রোল মডেল হয়ে দাঁড়ায়—এমনটিই প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
What's Your Reaction?






