চরফ্যাশনে বন্ধ হয়ে যাওয়া পর্যটক কেন্দ্র,পুনরায় চালু
আনোয়ার উল্লাহ শরিফ
চরফ্যাশন (ভোলা) বিশেষ প্রতিনিধি
চরফ্যাশনের উল্লেখযোগ্য পর্যটনকেন্দ্র "জ্যাকব টাওয়ার" ও "শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্ক" নতুন আঙ্গিকে চরফ্যাশন টাওয়ার ও চরফ্যাশন শিশু ও বিনোদন পার্ক নামে আজ থেকে চালু হচ্ছে...
গত (৫ আগস্ট) স্বৈরাচার সরকার পতন হওয়ার পর পর্যটক কেন্দ্রগুলো স্বাভাবিকভাবে বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি পর্যটক কেন্দ্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য জ্যাকব টাওয়ার ও শেখ রাসেল শিশু ও বিনোদন পার্কের নাম নিয়ে মতানৈক্য দেখা দেয়। পরবর্তীতে নতুন আঙ্গিকে নাম দেওয়া হয় চরফ্যাশন টাওয়ার ও চরফ্যাশন শিশু ও বিনোদন পার্ক।
দীর্ঘ ২ মাস বন্ধ থাকার পরে শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে ভোলা জেলার ঐতিহ্য চরফ্যাশন বিনোদন কেন্দ্রগুলো আবার নতুন করে চালু করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের ভোলা দ্বীপের চরফ্যাশন শহরে অবস্থিত পর্যটকদের জন্য নির্মিত একটি ওয়াচ টাওয়ার। ভ্রমণ পিপাসু মানুষদের জন্য এটি খুব আনন্দের। এ টাওয়ার থেকে চারপাশের ১০০ বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়।
এটি বাংলাদেশ ও উপমহাদেশের সবচেয়ে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার গুলোর মধ্যে একটি।
আইফেল টাওয়ারের আদলে নির্মিত ১৬ তলা বিশিষ্ট এই ওয়াচ টাওয়ারে প্রতিটি তলায় ৫০ জন ও পুরো টাওয়ারে ৫০০ জন দর্শক অবস্থান করতে পারবেন।
২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই টাওয়ার নির্মাণের কাজ শুরু হয়। টাওয়ার নির্মাণে ব্যয় হয় প্রায় ২০ কোটি টাকা। এর উচ্চতা ২২৫ ফুট। ১ একর জমিতে টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে চরফ্যাশন পৌরসভা।
টাওয়ারটির নকশা করেছেন স্থপতি কামরুজ্জামান লিটন। মাটির ৭৫ ফুট নিচ থেকে ঢালাই-পাইলিং ফাউন্ডেশনের ওপর সম্পূর্ণ ইস্পাত নির্মিত এই টাওয়ার ৮ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে। ভূমির উপর থেকে টাওয়ারের ওপরে অবস্থিত গম্বুজ আকৃতির ওয়াচ পয়েন্ট পর্যন্ত চারদিকে অ্যালুমিনিয়ামের ওপর রয়েছে ৫ মিলিমিটার ব্যাসের স্বচ্ছ কাঁচ।
এর চূড়ায় ওঠার জন্য সিঁড়ির পাশাপাশি রয়েছে ক্যাপসুল লিফট। টাওয়ার চূড়ায় স্থাপন করা হয়েছে উচ্চক্ষমতার বাইনোকুলার। এর সাহায্যে পর্যটকরা দূরবর্তী স্থান দেখতে পারবেন।
জনগণের কন্ঠ.কম
What's Your Reaction?