ভারতে নবী করীম (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তি করায় ভোলার চরফ্যাশনে প্রতিবাদ মিছিল
আনোয়ার উল্লাহ শরিফ/জনগণের কন্ঠ প্রতিনিধি
বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী, নবীয়ে রহমত, সরোয়ারে কায়েনাত, আশরাফুল আম্বিয়া, সকল মুমিনদের হৃদয়ের স্পন্দন, সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে নিয়ে ভারতীয় কুলাঙ্গার পুরোহিত রামগিরি কর্তৃক কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ফাঁসির দাবি ও গুজরাটের কসাই খ্যাত কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোদি সরকারের বিজেপি নেতার তাতে সমর্থন ও মুসলমানদের ধর্মীয় উপাসনালয় গুড়িয়ে দেয়ার মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ, চরফ্যাশন উপজেলা শাখার উদ্যোগে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। উক্ত প্রতিবাদ মিছিলে সকল ধর্মপ্রাণ মুসলমান গণ দল মত নির্বিশেষে অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে হেফাজতে ইসলামের মাওলানা আনাস সাহেবের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে মাওলানা সালাউদ্দিন, মাওলানা আবু তাহের, মাওলানা আনোয়ার উল্লাহ, মাওলানা রাহমাতুল্লাহ, মাওলানা শুআইব আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মাওলানা আনাস বলেন, ‘গত আগস্ট মাসে রাসুল (সা.)–কে নিয়ে কটূক্তি করেন ভারতের মহারাষ্ট্রের হিন্দু পুরোহিত রামগিরি মহারাজ। তাঁকে সমর্থন করেছেন বিজেপির বিধায়ক নীতেশ রানে। এ দুজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হলেও এখনো রাজ্য সরকার তাঁদের গ্রেপ্তার করেনি। এর প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে মহারাষ্ট্রের মুসলিম জনতা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মহানবীকে অবমাননাকারীদের গ্রেপ্তার করে সঠিক বিচারের দাবি জানাই।’
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বসবাস করছে। কিন্তু বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ঘটলেই ভারত থেকে বলা হয়, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নেই। অথচ ভারতেই সংখ্যালঘু কোনো জাতি নিরাপদভাবে বসবাস করতে পারে না। মহানবী (সা.)-কে নিয়ে কটূক্তির জন্য ভারতকে ক্ষমা চাইতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যাবে না এবং ভারতের সংখ্যালঘু মুসলিমদের ধর্মীয় স্বাধীনতা দিতে হবে। মহানবী (সা.)–কে নিয়ে ব্যঙ্গকারীদের অনতিবিলম্বে ফাঁসি দিতে হবে।
জনগণের কন্ঠ
What's Your Reaction?