প্রথম বারের মত পেতে যাচ্ছে ১ লাখের অধিক কিশোরী জরায়ু ক্যান্সারের টিকা
আনোয়ার উল্লাহ শরিফ
জনগণের কণ্ঠ প্রতিনিধি (চরফ্যাশন,ভোলা)
ভোলায় ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮০ জন কিশোরীকে প্রথমবারের মতো বিনামূল্যে জরায়ুমুখের ক্যান্সার প্রতিরোধে 'এইচপিভি টিকা' প্রদান করা হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ কর্মসূচিতে সহযোগিতা প্রদান করছে।
সোমবার (২১শে অক্টোবর) সকালে জাতীয় এইচপিভি টিকাদান ক্যাম্পেইন উপলক্ষে ভোলা সিভিল সার্জেন কার্যলয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানান ভোলার সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম।
ডা. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন বাংলাদেশে নারীদের স্তন ক্যান্সারের পর ২য় পর্যায়ে সর্বোচ্চ ভয়াবহ জরায়ুমুখ ক্যান্সার। "তাই এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখের ক্যান্সার রুখে দিন"। বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আগামী ২৪ অক্টোবর থেকে ১৬ নভেম্বর পযর্ন্ত প্রাথমিকভাবে “৫ম থেকে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছাত্রী” এবং “১০ থেকে ১৪” বছর বয়সী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত মোট ১ লাখ ২১ হাজার ৫৮০ কিশোরীকে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে। তমধ্যে ভোলার ৭ উপজেলায় ৫২৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ১৬ হাজার ৬১৬ জন শিক্ষার্থী রয়েছে । ১৮ কর্ম দিবসের মধ্যে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
তার মধ্যে প্রথম ১০ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্থায়ী কেন্দ্র সমূহে এবং পরবর্তী আট কর্ম দিবসের নিয়মিত ইপিআই স্থায়ী এবং অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্রে কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। এই ক্যাম্পেইন থেকে টিকা পেতে ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করতে হবে। এছাড়াও নিবন্ধনে ব্যর্থ শিক্ষার্থীরা জন্মনিবন্ধনের সনদ নিয়ে টিকা কেন্দ্রে গিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে টিকা নিতে পারবে বলে জানিয়েছেন।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়ে বক্তব্য রাখেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিক্যাল অফিসার ডা. মোহাম্মদ খৈয়াম ফারুকী ও ভোলা প্রেসক্লাব আহবায়ক আহাদ চৌধুরী তুহিন প্রমুখ। সে সময় উক্ত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জনগনের কন্ঠ.কম
What's Your Reaction?