২ যুগের বেশি সময়েও সংস্কার হয়নি সেতুটি
তাওহিদুজ্জামান রোমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি: শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নয়াবিল ইউনিয়নে নয়াবিল হতে চাটকিয়া যাওয়ার পথে দুদুয়ার খালের উপর সেতুটি নির্মিত হয় আনুমানিক ৪০ বছর পূর্বে। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায় বিগত প্রায় ২৭ বছর আগে বন্যায় সেতুটির অর্ধেক অংশ ভেঙ্গে যায়। কিন্তু এখনো সেটি পুনর্নির্মাণ হয়নি।
সেতুটি দিয়ে নয়াবিল ইউনিয়নের রুপাকুড়া, দুধকুড়া, দাওয়াকুড়া, শেকেরকুড়া, চাটকিয়া, দাওধারা, ডালুকোনা, আন্ধারুপাড়া, মানিকচাঁদ পাড়া ও পোড়াগাঁও ইউনিয়নের বারমারি, পলাশিকুড়া গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষসহ চাটকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষকগণ যাতায়াত করেন।
স্থানীয় কৃষক মোঃ আজহার আলী বলেন, এই ব্রিজে হগল সময়ই এক্সিডেন্ট অয়। দুইডা অটো এক লগে কাইটা যাইবার পায়না। নদীতে বেশি পানি আইলে ব্রীজ লড়ালড়ি করে। পোলাপান ডরাইয়া পার হয়না, স্কুলেও যায়না। খুব মছিবতে আছি।
অটো রিক্সাচালক মোঃ জুলহাস আলী বলেন, এইটা ব্রিজ না পুলসিরাত। পার হইলেই মনে হয় বাঁইচা গেলাম। ১৫দিন আগেও স্টিলের ঝালাই ভাইঙ্গা একটি রিক্সা যাত্রীসহ নদীতে পইরা গেছে। পরে মিজান চেয়ারম্যান আবার ঝালাই দিয়া ঠিক করাইছে। এখন কোন রহম পার হওন যায়।
স্থানীয় শিক্ষক মোঃ মঞ্জুরুল আহসান (৫২) বলেন, সেতুটি সম্ভবত এরশাদের আমলে নির্মাণ করা হয়েছিল। প্রায় ২৭-২৮ বছর আগে এক বন্যায় সেতুটির অর্ধেক অংশ ভেঙে খালে পরে যায়। তাৎক্ষণিক যাতায়াত ব্যবস্থা সচল করার জন্য সেতুটির ভাঙ্গা অংশে স্টিলের প্লেট দিয়ে মেরামত করা হয়। কিন্তু সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ ও নাজুক। এমতাবস্থায় সেতুটির পুনর্নির্মাণ জরুরী।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, সেতুটি পুনর্নির্মাণ করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
What's Your Reaction?