এমন দিনে বলা যায়: কলমে- প্রভাষক ডালিয়া শারমিন
কবিতা
এমন দিনে বলা যায়
কলমে- প্রভাষক ডালিয়া শারমিন
রচনাকাল: ১৫/০৯/২১ইং
এমন দিনে তারে বলা যায়।
শুধু এমন বর্ষণমন্দ্রিত দিনেই
কেবলই তারে বলা যায়।
বলা যায় তারে উন্মুক্ত অন্তঃকরণে..
আবেগী আধুত আত্মায়।
বলা যায় তারে ঝিমিকি বাদল দিনে,
ঝিরিঝিরি কিংবা ঝমঝম শ্রাবণের বরিষণে।
বলা যায় তারে গাঢ় মেঘে ঢাকা ঘনকাল অন্ধকারে আচ্ছন্ন হয়ে অর্যমা যখন গগন-তলে!
যে কথা শুনিবে না কেহ,
শুধুই তাহার কানে কানে।
এমনই দিনে কেবল বলা যায়।
যে কথা হয়নি বলা আগে কখনো তারে।
বলা যায় যত অপ্রকাশিত কথা দু'জন দু'জনে,
নিরালায় একান্ত বিজনে।
বলিব মুখোমুখি বসি আজি তাহা-
হইয়া একে অপরের দুঃখে দুঃখী।
আনন্দে আনন্দিত আর হইয়া সুখে সুখী।
বলিব কেবল তারে-
দীপ্তিমান অর্যমাহীন এমন বরিখা দিনে-
মেঘেদের আড়ম্বরে।
গাহিব উদগীতি আজি।
কহিব চিত্তকথন মেঘজালের বাদ্যধ্বনি শুনি।
বাজিবে মুরলী বৃষ্টির ছন্দে মাতি...
নিশির অবসানকালে তব আসিবে উষসী।
ঘরকন্না,জগৎ, ইহলোক বৃথাই সব।
মিছেই সব মিছে মায়া জগতীর যত গুঞ্জরণ।
এ যেন গো নিস্ফল ক্রন্দন.....
মিছেই যত চিত্ত-বিনোদন।
লোচন দিয়ে লোচনের জলে-
হোক চিত্ত দিয়ে উপলব্ধি তব চিত্তবোধ!
তাহাতে ক্ষতি হবে কি কারো?
নামাই যদি মনোভার নিচে আরো!
শ্রাবণের বরিষণে অন্তঃপুর ও সংসারে-
হৃদি দিয়ে হৃদয় যদি স্পর্শ করি তবে;
কিবা এসে যাবে তার।
কি এমন বিশেষ ক্ষতি হবে কার?
চিত্ত যে আজ চমকিত চরম ব্যাকুলতায়!
প্রবাহিত নিরন্তর অনন্ত আনন্দধারা।
দূরীভূত করিব ক্লেশ যতো;
তিরপিত হইবে আত্মা মিটিবে তিয়াস।
পূর্ণ হইবে অভিলাষ।
বিজরি ও থেকে থেকে চমকিত।
উথলিত চিত্ত আশ্লেষে আসক্ত।
মধুর বরিষণে চতুর্দিক মুখরিত।
এমনই দিনে কেবল তারে বলা যায়।
শুধু এমনি বরিষণমন্দ্রিত দিনেই কেবল তারে বলা যায়।
শুধুই এমনি দিনে।
What's Your Reaction?