শেরপুরে পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত কয়েক হাজার পরিবার
তাওহিদুজ্জামান রোমান, সম্পাদক: শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে উজান থেকে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বর্ষণের ফলে ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর ফলে ৭ ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ডের ঘর-বাড়ি এবং সড়ক পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে কয়েক হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ভোগাই নদীর পানি বিপৎসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার এবং চেল্লাখালী নদীর পানি ৫২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে টানা ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলের কারণে নদীর পানি দ্রুত বৃদ্ধি পেতে থাকে। গত রাতে পাহাড়ি ঢলের ফলে নয়াবিল, শিমুলতলা, ঘাকপাড়া, মন্ডলিয়াপাড়া, ভজপাড়া এবং পৌরসভার গড়কান্দা ও নিচপাড়া গ্রামে ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে পানি প্রবাহিত হয়।
এছাড়া, ভোগাই নদীর বিভিন্ন অংশে বাঁধ উপচে প্রবল বেগে ঢলের পানি লোকালয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নালিতাবাড়ী পৌর শহর থেকে নয়াবিল ও নালিতাবাড়ী বাজার থেকে ঘাকপাড়া যাতায়াত সড়কে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
অপরদিকে, চেল্লাখালী নদীর পানি বেড়ে বারোমারি, বাতকুচি ও সন্ন্যাসীভিটা এলাকায় বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় শেরপুর-নালিতাবাড়ী ভায়া গাজিরখামার সড়ক তলিয়ে গেছে। বাতকুচি এলাকার মানুষও পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। নালিতাবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধারকাজে নিয়োজিত রয়েছেন। নন্নী-আমবাগান, নন্নী-মধুটিলা ইকোপার্ক এবং আমবাগান-বাতকুচি সড়কও চেল্লাখালী নদীর পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাসুদ রানা বলেন, নালিতাবাড়ীতে কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে চেষ্টা চলছে, এবং সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত শুকনো খাবার রয়েছে, যা দ্রুত পানিবন্দী পরিবারে সরবরাহ করা হবে।
What's Your Reaction?