স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননী।

মো:শাহিন/উপজেলা প্রতিনিধি

Oct 15, 2024 - 18:43
 0  14
স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে দুই সন্তানের জননী।

উপজেলা প্রতিনিধি:

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় মো. মিজান নামে এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে অবস্থান নিয়েছেন দুই সন্তানের এক জননী। শনিবার বিকেলে উপজেলার চরমানিকা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ডাক্তার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। শিক্ষক মিজান ওই বাড়ির মৃত সোবহান ডাক্তারের ছেলে এবং উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া ওই শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ২ সন্তানের জননী একই ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সরদার বাড়ির এক ব্যক্তির স্ত্রী। জানা গেছে, দুই সন্তানের জননী ওই নারীর এক ছেলে উত্তর চরমানিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছে। সে সুবাদে স্কুলে আসা-যাওয়া করতেন ওই নারী। এর ফলে স্কুল শিক্ষক মিজানের কুনজরে পড়েন দুই সন্তানের ওই জননী। এরপর তাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলেন শিক্ষক মিজান। পরে শিক্ষক মিজান ওই নারীর বাড়িতে প্রায় সময় যাতায়েত করতেন। এরপর গোপনে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর ভরণপোষণ না দেওয়ায় শনিবার বিকালে স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে মিজান নামের ওই শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নেন দুই সন্তানের ওই জননী। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধানের দাবি স্থানীয়দের। বিয়ের দাবিতে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়া ওই নারী বলেন, আমার ছেলে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার সুবাদে প্রায় সময়ই ওই বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়া করতাম। যার ফলে স্কুল শিক্ষক মিজানের সঙ্গে আমার কথা হতো। একপর্যায়ে তার সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর শিক্ষক মিজান আমাকে বিয়ের আশ্বাস দেন। পরে ২০২৩ সালের ২০ মার্চ উত্তর আইচা বাজারের কাজি অফিসে ১০ লাখ টাকা দেনমোহরে আমাকে বিয়ে করে বিভিন্ন সময় শরীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন মিজান। তবে তিনি আমাকে কোনোভাবেই প্রকাশ্যে স্ত্রীর স্বীকৃতি দিচ্ছেন না। যার জন্যই স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে শিক্ষক মিজানের বাড়িতে এসেছি। তবে এখানে আসার পর মিজানের স্ত্রী আমাকে বেধড়ক মারধর করেছেন। তিনি আরো বলেন, শিক্ষক মিজান আমাকে কোটি টাকা দিলেও আমি স্বামীর দাবি ছাড়বো না। আমরা বিয়ে করেছি। আমি স্ত্রীর স্বীকৃতি চাই-ই, চাই। ইতোমধ্যে আমাকে টাকার লোভ দেখিয়ে বিষয়টি রফাদফা করার কথাও বলা হয়েছে মিজানের পরিবারের পক্ষ থেকে। তবে আমি টাকা নেবো না, আমি মিজানের সঙ্গেই সংসার করবো। মিজান যদি আমাকে স্ত্রীর স্বীকৃতি না দেন তাহলে থানায় মামলা করবো। এ ঘটনা নিয়ে স্কুল শিক্ষক মিজানের সঙ্গে তার মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ থাকায় তা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহমেদ জানান, স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে অবস্থানকারী ওই নারী যদি আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে আমরা প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ।

মো:শাহিন/জনগনের কন্ঠ.কম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow