স্টারলিংক নিয়ে সকল তথ্য

২৪/০৫/২০২৫

May 23, 2025 - 23:10
 0  7
স্টারলিংক নিয়ে সকল তথ্য

শ্রীলঙ্কার পর দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের স্পেসএক্স পরিচালিত স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট পরিষেবা স্টারলিংক বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে। মঙ্গলবার (২০ মে) থেকে শুরু হওয়া এ সেবার মাধ্যমে দেশের সব জায়গায় উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে স্টারলিংকের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশে ব্যবহারের জন্য দুটি প্যাকেজের তথ্য দেওয়া হয়েছে।

অথচ মাত্র ৯০ দিন আগেও বাংলাদেশে কোনো এনজিএসও (নন-জিওস্টেশনারি অরবিট) লাইসেন্স ছিল না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের রেকর্ড সংখ্যক দ্রুততার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ একটা এনজিএসও গাইডলাইন করেছে। যার অনুকূলে একটি স্যাটেলাইট ইন্টারনেট অপারেটর আবেদন করা হয়। আবেদনটিও যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে চার মাসের (ফেব্রুয়ারি-মে) মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করলো।

বাংলাদেশের ইতিহাসে এ ধরনের টেলিকমিউনিকেশন লাইসেন্সের রোল আউটের ঘটনা প্রথম ও অনন্য বলে বর্ণনা করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশের যে ইন্টারনেট, এটি পৃথিবীর মধ্যে অন্যতম নিকৃষ্ট। এ ইন্টারনেটের একটি বিকল্প কোয়ালিটি তৈরির দায় থেকে স্যাটেলাইট ইন্টারনেট স্টারলিংককে সুযোগ দেওয়া হয়েছে। প্রচলিত বাংলাদেশের স্যাটেলাইট বা ইন্টারনেটের চেয়ে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট শতগুণ বেশি গতিসম্পন্ন।

শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে। প্রথমটি স্টারলিংক ‘রেসিডেনশিয়াল’। এর জন্য প্রতি মাসে খরচ করতে হবে ছয় হাজার টাকা। আর দ্বিতীয়টি ‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’। এর জন্য মাসে খরচ হবে চার হাজার ২০০ টাকা। এছাড়া সেটআপ যন্ত্রপাতির জন্য এককালীন খরচ হবে ৪৭ হাজার টাকা। এর মাধ্যমে শহর এবং প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ সব জায়গায় একই গতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে।

স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হওয়া কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো ঝুঁকি আছে কি না- জনমনে এরই মধ্যে এ ধরনের নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্টারলিংকের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই

তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা কেন শুরু করা হলো, এটির গ্রাহক কারা হবেন, এর ফলে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ন হওয়া কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো ঝুঁকি আছে কি না- জনমনে এরই মধ্যে এ ধরনের নানান প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। তবে অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, স্টারলিংকের মাধ্যমে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

সরকারের ভাষ্য, স্টারলিংকের একটি লোকাল গেটওয়ে থাকবে। এর কমার্শিয়াল টেস্ট রান ও গ্রাউন্ড টেস্ট চলমান। এসব কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য স্টারলিংক কোম্পানিকে ৯০ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে, যার দশ দিন অতিবাহিত হয়েছে। এ সময় শেষ হলেই তাদের লোকাল গেটওয়ে বাধ্যতামূলকভাবে ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পাশাপাশি ডিভাইসের ক্ষেত্রে রেট, ভ্যাট, ট্যাক্স আছে, তাই ডিভাইসের বিষয়ে এনওসি নেবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow