বরিশাল বিদ্যালয় ও বি এম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪০

অবশেষে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করে।

Sep 5, 2024 - 03:53
 0  14
বরিশাল বিদ্যালয় ও  বি এম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৪০

মোঃ আনোয়ার উল্লাহ শরিফ 

উপজেলা প্রতিনিধি চরফ্যাশন 

জনগণের কন্ঠ. কম

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও বিএম কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় আহত প্রায় ৪০ জন, অবশেষে সেনাবাহিনী এসে নিয়ন্ত্রণ করেছে।

এটার মানে এটাই বুঝায় যে ভাই ভাই সংঘর্ষ।

 বিএম কলেজের ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মুস্তাফিজুর রহমান এর উপর সন্ত্রাসী হামলার ইতিবৃত্ত :

বিগত তিন থেকে চারদিন পর্যন্ত ক্রমাগত বিএম কলেজে গিয়ে একজন মহিলা সমন্বয়কদের খুঁজতে থাকলে সেখানে হাসান রাজু ভাই সহ আরো কয়েকজনের সাথে কথা হয় ভিক্টিম মহিলার, সেখানে মহিলা খুব কান্নাকাটি ও হাতে পায়ে ধরে বিএম কলেজের সমন্বয়কদেরকে জানান তার একটি নির্মানাধীন ভবনের কাজ ৩-৪ বছর বন্ধ করে রেখে দিয়েছে তার প্রতিবেশী আরেকজন ।

টানা তিন চারদিনের অনুরোধ এবং ভদ্র মহিলার স্বামী নেই বিধায় মানবিক দৃষ্টিতে বিএম কলেজের একটি টিম অদ্য রাত ৯ টার দিকে বাংলাবাজার সংলগ্ন ব্যাপ্টিষ্ট মিশন রোডে ঘটনা স্থলে হাজির হয়। তখন নির্মানাধীন মালিকপক্ষের সাথে কথা বলে আমরা কাজে বাঁধা দানকারী প্রতীবেশীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করি, তখন বাঁধা দানকারী ব্যাক্তি বাসা থেকে গোপনে পালিয়ে গিয়ে তার স্ত্রীর মাধ্যমে জানান সে কথা বলতে পারবে না।

তখন আমরা তার স্ত্রীকে বারবার অনুরোধ করি যে আমরা বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য নিয়েই চলে যাবো, যদি আমাদের হাতে থাকে তাহলে আমরা সমাধান করবো না হলে এটা আইনীভাবে সমাধান হবে। কিন্তু তারপর ও বাঁধাদানকারীর স্ত্রী কথা বলতে সম্মত হয় নি।

এক পর্যায়ে নির্মানকাজে বাঁধাদানকারী ব্যাক্তির মেয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জোয়া সামনে এসে সবাইকে সন্ত্রাসী, গুন্ডা আখ্যা দিয়ে খুবই নোংরা ভাষায় গালিগালাজ করে আমাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার চেষ্টা করে, তখন আমরা নিরাপদ দূরত্বে সরে যাওয়ার পর সে তার বয়ফ্রেন্ড কে ফোন দিয়ে জানায় যে তাকে হেনস্তা করা হয়েছে এবং তার বাসায় হামলা করা হয়েছে, তাৎক্ষণাত তার মা তাকে বারন করা সত্ত্বেও সে তার বয়ফ্রেন্ড কে ভূল ইনফরমেশন দিয়ে স্পটে নিয়ে আসে।

তখন আশেপাশে প্রায় ৩০-৪০ জন এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলো সবাই ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী। এছাড়া ও আমাদের কাছে পুরো সময়ের ভিডিও ফুটেজ আছে। জোয়ার বয়ফ্রেন্ড তাত্ক্ষণিক তার বন্ধুবান্ধব ও স্থানীয় নেশাখোরদের সহ প্রায় ৩০-৪০ জন ছেলেপেলে নিয়ে হাজির হয়। এবং জোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রুপে হেনস্তার পোস্ট করলে সেখান থেকেও কিছু ভাই রা আসে। তখন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইদেরকে বুঝাতে সক্ষম হই যে এখানে এমন কিছু ই ঘটে নি, এবং তারা উপস্থিত সবাইকে জিজ্ঞাসা করেও এর সত্যতা পায় এবং এক পর্যায়ে বিষয়টি মিউচুয়াল করে তারা চলে যায়।

কিন্তু সেখা সিয়াম এবং আহাদের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু ছাত্রসহ সেখানে একটি টিম থেকে যায়, তখন তাদেরকে জোয়ার আম্মা চলে যেতে বললেও তারা যেতে নারাজ হয় এবং জোয়ার কথামতো তারা সমন্বয়ক মুস্তাফিজুর রহমান ভাইর সাথে জেরা করতে থাকে। একটি পর্যায়ে তাদের মধ্যে থেকে হাতুড়ি বের করে মুস্তাফিজুর রহমান ভাইর মাথায় হামলা করে ও উপস্থিত বিএম কলেজের আমি, হাসান রাজু ভাই সহ ৬-৭ জনের উপর অতর্কিত হামলা চালায়!

এতে গুরুতর আহত হয় মুস্তাফিজুর রহমান ভাই। সেখানে উপস্থিত কেউ ই বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক প্যানেলের সাথে জড়িত ছিলো না তবে কয়েকজনকে ফোনে সুজয় শুভ এর সাথে কথা বলতে শুনা যায়।

চাক্ষুষ ভাষ্য : নাহিদ, বিএম কলেজ

©️

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow