ভোলার লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

আনোয়ার উল্লাহ/জনগণের কন্ঠ প্রতিনিধি

Nov 16, 2024 - 02:38
Nov 16, 2024 - 07:38
 0  70
ভোলার লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা

জনগণের কন্ঠ প্রতিনিধি (ভোলা)

  • প্রকাশ ১৬ নভেম্বর

ভোলার লালমোহনে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মৃত আব্দুর রব মিয়ার পুত্র নূরনবী মেম্বারকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার মৃত আবুল হাসেম মিয়ার ছেলে ইসমাইল গং ও তার দুই ভাই এর বিরুদ্ধে।

শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সকাল ৮ টা ৩০ মিনিটে লালমোহন থানাধীন রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের মাওলানা আলাউদ্দিন সাহেবের মাদ্রাসা সংলগ্ন জামালের চায়ের দোকানের সামনে আজহার রোড টু রায়েচাদ গামি পাকা রাস্তার উপর এ দুর্ঘটনা ঘটে।

এই ঘটনায় লালমোহন থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নিজেই। আহত নূরনবী মেম্বার (৪৮) রমাগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। অভিযুক্ত ইসমাইল গং (৪২) শাহাবুদ্দিন গং (৫৫) ও আলম গং (৬০) একই এলাকার বাসিন্দা মৃত আবুল হাশেমের ছেলে।

হসপিটালে চিকিৎসাধীন নূরনবী মেম্বার জানান, আমার ভাজতি (মৃত বড় ভাইয়ের মেয়ে) আমেনা বেগমকে তার স্বামী ইসমাইল গং তার মৃত শশুরের কাছ থেকে টাকা পাবে বলে বিভিন্ন সময় মারধর করত। আমার ভাজতি তার মারধরে অতিষ্ঠ হয়ে বিষয়টা আমাদেরকে জানান। আমার ছোট ভাই আব্দুর রহিম এই বিষয়টা (১৪ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার দিন তার বড় ভাই শাহাবুদ্দিন গং কে জানালে সে ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে বিষয়টি তার ছোট ভাই ইসমাইল গং কে বলে। ইসমাইল গং ক্ষিপ্ত হয়ে তার শ্বশুরবাড়ির সামনে গিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার স্ত্রীকে জবাই করার হুমকি দিয়ে আসে।

পরবর্তীতে উক্ত সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে ঘটনার দিন (১৫ নভেম্বর) আমি (নুরুন্নবী মেম্বার) আজহার রোড থেকে রায়চাঁদ যাওয়ার পথে মাওলানা আলাউদ্দিন সাহেবের মাদ্রাসা সংলগ্ন জামালের চায়ের দোকানের সামনে পাকা রাস্তার উপর পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইসমাইল গং ও তার দুই ভাই শাহাবুদ্দিন গং ও আলম গং ধারালো দা, লাঠি সোঠা, লোহার রড দিয়ে অতর্কিত ভাবে এলোপাথাড়ি কিল, ঘুষি ও কুপিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে। মারধরের একপর্যায়ে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা ধারালো 'দা' দিয়ে মাথার পিছনে কুপিয়ে যখম করে। আমার চিৎকার চেঁচামেচিতে আশেপাশের লোকজন আসতে দেখে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায় ‌। পরে স্থানীয়রা সেখান থেকে উদ্ধার করে লালমোহন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

এ ব্যাপারে লালমোহন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জনগণের কন্ঠকে জানান, তদন্ত সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জনগণের কন্ঠ.কম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow