নিজের মৃত্যু সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করে ৬ ঘন্টা পরে মৃত্যু মুফাসসির ড. রেজাউল করিমের

1. নিজের মৃত্যু সম্পর্কে ফেসবুকে পোস্ট করে ৬ ঘন্টা পরে মৃত্যু মুফাসসির ড. রেজাউল করিমের
মাওলানা রেজাউল করিম নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি,
জয়পুরহাটের হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসার সাবেক ও বুজুর্গধামা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুফাসসির ডক্টর মাওলানা রেজাউল করিম খান সাহেব ফেসবুকে নিজের মৃত্যু সম্পর্কে স্ট্যাটাস দেওয়ার ৬ ঘন্টা পরে মৃত্যুবরণ করেন।
তিনি যা লিখেছিলেন, হুবহু তুলে ধরা হলো-
""আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, অপারেশনের জন্য হাসপাতালে ভর্তি হলাম। সুস্থতার জন্য দোয়া চাই।
হতে পারে আজই আমার জীবনের শেষ দিন। হয়তো মৃত্যুর দুত প্রস্তুত। এগিয়ে আসছে সেই নির্ধারিত সময়, আর কিছু সময় পরই হয়তো পড়ে রবে আমার নিরব, নিথর নিস্তব্ধ দেহ, পাথর চোখে তাকিয়ে থাকবো, কিছুই বলতে পারব না । তাই আমার দ্বীনি ভাই বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষী, আত্মীয়-স্বজন সকলের প্রতি বিনীত আবেদন-
হয়তো মনের অজান্তে আপনাদের আঘাত দিয়েছি, অধিকার নষ্ট করেছি, কারো মনে ব্যথা দিয়েছি। সকলের কাছে ক্ষমা চাই, ক্ষমা করে দিবেন। আল্লাহ তাআলা তার এই গুনাহগারকে যেন ক্ষমা করে দেন, তার দ্বীনের উপরে মৃত্যু দেন""। আমীন।
নওগাঁ জেলা জামাতে ইসলামির সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক মাওলানা নাসির উদ্দিন সাহেব তাঁর ফেসবুক স্ট্যাটাসে বলেন -
প্রিয় হাফেজ ডক্টর মাওলানা রেজাউল করিম খান ভাইয়ের জানাজা আজ বাদ যোহর বগুড়া কাহালুতে অনুষ্ঠিত হইবে ইনশাল্লাহ৷
মানুষ মরার আগেই নাকি কিছুটা বুঝতে পারে গতকালকে রেজাউল ভাইয়ের পোস্টটা দেখেছি এবং পড়েছিও কিন্তু ভাবতে পারিনি তিনি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন৷ ভাইয়ের সাথে দীর্ঘদিন থেকে পরিচিত তিনি জয়পুরহাট থাকাকালীন পৌর মার্কেটে ইউনাইটেড হজ্ব কাফেলার অফিসে আমি গেলেই দেখা করতাম ৷
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, বৃহত্তর বগুড়া জেলা শাখার সাবেক সম্মানিত সভাপতি, জয়পুরহাট জেলা জামায়াতের সাবেক নায়েবে আমির, বুজর্গধামা কামিল মাদরাসার সম্মানিত প্রিন্সিপাল, প্রখ্যাত আলেমে দ্বীন প্রিয় ভাই হাফেজ ড. মাওলানা রেজাউল করিম পিত্তথলির অপারেশন করাকালীন আমাদের সবাইকে ছেড়ে রাব্বুল আলামিনের সান্নিধ্যে পৌঁছে গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
মহান আল্লাহ প্রিয় ভাইকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান করে নিন।।
জানা যায় ড. মাওলানা রেজাউল করিম খাঁন সাহেব দীর্ঘদিন জয়পুরহাট জেলার হানাইল নোমানিয়া কামিল মাদ্রাসার মুফাসসিরের দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
ও জয়পুরহাট জেলায় দীর্ঘদিন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল ছিলেন। তিনি জয়পুরহাট ও বগুড়া জেলার একজন জনপ্রিয় ব্যক্তি ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া পড়েছে। জাতি একজন যোগ্য আলেমকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলল।
জনগণের কণ্ঠ ডট কম।
What's Your Reaction?






