ভোলা সদর হসপিটালে নেই সাপে কাটার চিকিৎসা , বরিশাল নেওয়ার পর শিশু ফারিহার মৃত্যু ।
আনোয়ার উল্লাহ শরীফ
জনগণের কণ্ঠ প্রতিনিধি (চরফ্যাশন,ভোলা)
গতকাল শনিবার (৫ অক্টোবর) ভোলা সদর উপজেলা বাপ্তা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বুড়ির মসজিদ সংলগ্ন মজনুর একমাত্র মেয়ে ফারিয়া আক্তার রোজা(৫) কে সন্ধ্যায় সাপে কামড় দেয়৷
এমতাবস্থায় পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে দ্রুত ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান, কর্তব্যরত চিকিৎসকগন তার অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ফারিহা কে হসপিটালে ভর্তির পর কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ গতানুগতিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন তবে তাকে সাপে দংশনের কোন ভ্যাকসিন প্রদান করেননি, এমনকি চিকিৎসা সিরিয়াস কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি । চিকিৎসার একপর্যায়ে ফারিহার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে, চিকিৎসককে বিষয়টি অবহিত করলে তারা তাকে বরিশাল (শেবাচিম) রেফার করেন। এমনটি জানিয়েছেন তার পিতা সহ একাধিক ব্যক্তি।
পরিবারের সদস্যগণ তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যান। ওখানকার চিকিৎসকগন তার অবস্থা দেখে বলেন, দেরি করে ফেলেছেন এবং তারা তার চিকিৎসা শুরু করেন। কিন্তু আর তাকে বাঁচানো গেল না।
শিশু ফারিয়া মর্মান্তিক মৃত্যুতে পরিবার চলছে শোকের মাতম।
এ দিকে শোক প্রকাশ করেন, সদর উপজেলা জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ। সুশীল সমাজ এবং বিশিষ্টজনদের এ ব্যাপারে হতাশা প্রকাশ করতে দেখা যায়। তারা বলেন- ভোলা জেলা সদর হসপিটাল ও চরফ্যাশন সদর হসপিটাল এর মত একটি সরকারি চিকিৎসা খাতের প্রতিষ্ঠানে সর্প ধ্বংসনের ভ্যাকসিন নেই বিষয়টি তারা কোনভাবেই মানতে পারছেন না এবং চিকিৎসকদের এজাতীয় ঢিলেঢালা দায় সারা চিকিৎসা সেবা দেশ ও জাতির জন্য মারাত্মক হুমকি।
তারা জানান, ১০-১৫ দিন পূর্বে সাপে দংশিত অপর এক রোগী এ জাতীয় ঢিলে-ঢালা দায় ছাড়া চিকিৎসায় মৃত্যু হয়। এই ধরনের পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে মানুষ হসপিটাল এর পরিবর্তে ওজা ও কবিরাজদের দ্বারস্থ হবে যা মোটেই কাম্য নয়, সুতরাং বিষয়টি বাংলাদেশ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এর যথাবিহিত সুরা ও ব্যবস্থা গ্রহণ করা অতীব জরুরী।
জনগণের কন্ঠ.কম
What's Your Reaction?